Friday, June 24, 2011

গোসল না করে ৩৭ বছর !

ঢাকা, ২৪ জুন : ভারতের বারানসির গুরু কৈলাশ সিং পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গন্ধময় ব্যাক্তি কি-না তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। কারণ গত ৩৭ বছর ধরে তিনি আছেন গোসল ছাড়া। পরিবারের সদস্যদের শত অনুরোধ, প্রতিবেশীদের কটাক্ষও দমাতে পারেনি তার এই অদ্ভুত অভ্যাস।
৬৫ বছর বয়স্ক কৈলাস সিং গত ৩৭ বছর ধরে যেমন গোসল করেন না, তেমনি কাটেন না চুল, দাড়ি কিছুই। তার ৬ ফুট লম্বা চুল, দাড়ির গন্ধে তার ধারে কাছে ঘেঁষতে চায় না কেউ। শেষ তিনি নাকি চুল, দাড়ি কাটিয়েছিলেন ১৯৭৪ সালে তার বিয়ের পর। তার গোসল না করা এবং চুল, দাড়ি না কাটার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার ধর্মগুরু নাকি তাকে স্বপ্নে এভাবে থাকতে বলেছেন। ধর্মগুরুর এই আদেশ মেনে চললে নাকি তিনি তাকে অধিক ছেলে সন্তান বা উত্তরাধিকারী দেবেন। একমাত্র মৃত্যুর পরই তার মরদেহের গোসল হবে এবং তা করাবে তার শুধু মাত্র তার ছেলে বলে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যাক্তিগত জীবনে কৈলাস সিং ৪ মেয়ে ও এক ছেলের জনক। তার স্ত্রী ৬০ বছর বয়স্ক কালাভাতি দেবী বলেন, আমরা অনেকবার তাকে স্নান করার ব্যাপারে বিভিন্নভাবে চাপ দিয়েছি। কোনোভাবেই তাকে রাজি করানো যায়নি। সবশেষ তার স্ত্রী হুমকি দিয়েছেন এই বলে যে, যদি কৈলাস সিং তার এই অভ্যাস ত্যাগ না করেন তাহলে তিনি ঘুমানো বন্ধ করে দেবেন।

Saturday, June 11, 2011

নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানা

            নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানা

Friday, May 6, 2011

কেশবপুরে ২ মাথাওয়ালা শিশু, জন্মের ৫ ঘণ্টা পর মৃত্যু

কেশবপুরে ২ মাথাওয়ালা শিশু, জন্মের ৫ ঘণ্টা পর মৃত্যু


কেশবপুরে ২ মাথাওয়ালা শিশু, জন্মের ৫ ঘণ্টা পর মৃত্যু


যশোর, ৬ মে : যশোরের কেশবপুরে কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে দুই মাথাওয়ালা একটি ছেলে শিশু জন্ম নেয়। কিন্তু জন্মের ৫ ঘণ্টা পর শিশুটি মারা গেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সীমা মজুমদার নামে এক মহিলা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ শিশুর জন্ম দেন।
জানা যায়, কেশবপুরের গড়ভাঙ্গা গ্রামের সমিত মজুমদারের স্ত্রী সীমা মজুমদারকে আজ সকালে শহরের কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডা. আবুল কালাম আজাদ তার অস্ত্রোপচার করেন। এ সময় দুই মাথা বিশিষ্ট একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। শিশুটির ২টি মাথা, ২টি হাত, ৪টি চোখ, ৪টি কান, ২টি পা ও ২টি নাক রয়েছে।
কেশবপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হেদায়েতুল ইসলাম জানান, ক্রোমোজম বা জন্মকোষের ত্রুটির কারণে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। তবে এসব অস্বাভাবিক শিশুর জন্মের পরপরই মৃত্যু ঘটে থাকে। এ ধরনের শিশুর জন্ম হওয়ার পর মায়েদের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না।
এদিকে দুই মাথা বিশিষ্ট শিশু জন্মের খবর পেয়ে শিশুটিকে দেখার জন্য শত শত মানুষ ক্লিনিকের সামনে ভিড় জমায়।  
আলাউদ্দিন বাচ্চু রিয়াধ

Thursday, April 14, 2011

বাংলা কৌতুক 'স্বামী-স্ত্রী'

ভীষণ সেজেগুজে স্বামীর সামনে গিয়ে দাঁড়াল স্ত্রী।
স্ত্রী: দেখো তো, আমাকে কেমন দেখাচ্ছে?
স্বামী: মোটামুটি কম খারাপ না!



২-সুখী জীবনযাপন
দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে—
প্রথম বন্ধু: আমি আর আমার স্ত্রী জীবনের ২০টি বছর সুখী জীবনযাপন করেছি।
দ্বিতীয় বন্ধু: তারপর?
প্রথম বন্ধু: তারপর একদিন….আমাদের দুজনের দেখা হলো!


৩-বিয়ে করার কথা
স্বামী: ও গো শুনছ, একটু পর আমার একজন বন্ধু আসবে।
স্ত্রী: গাধা, বোকার হদ্দ কোথাকার, করেছ কী? দেখো না ঘরের কী অবস্থা? ভাঙা ফুলদানি, কাচের প্লেট, ঝাড়ু ঘরজুড়ে সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
স্বামী: এই জন্যই তো ওকে আসতে বলেছি। গর্দভটা বিয়ে করার কথা ভাবছে!


৪-ঘুষ দেওয়ার লোভ
ক্রিকেটপাগল স্বামী প্রতি ছুটির দিনেই ক্রিকেট খেলতে মাঠে ছোটেন।
স্ত্রী: আমার মনে হয়, যে ছুটির দিনে তুমি বাসায় থাকবে, সেদিন আমি খুশিতে মারাই যাব।
স্বামী: আমাকে ঘুষ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে লাভ হবে না


৫-সুখী দাম্পত্যের জন্য পুরুষের করণীয়
সুখী দাম্পত্যের জন্য পুরুষের করণীয় দুটো:
১. যখনই কোনো ভুল করবেন, সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার করতে ভুলবেন না।
২. যদি আপনার কথাই ঠিক হয়, তাহলে মনের ভুলেও সেটা বলতে যাবেন না।



৬-ধোঁকা
বড় কর্তার সেক্রেটারির সঙ্গে বড় কর্তার স্ত্রীর কথা হচ্ছে—
সেক্রেটারি: ম্যাডাম, কয়েক দিন ধরে আপনাকে বেশ উদাস দেখা যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি!
বড় কর্তার স্ত্রী: আর বোলো না। শুনেছি তোমার বস অফিসের এক নতুন কর্মচারীর প্রেমে পড়েছে।
সেক্রেটারি: বলেন কী! এটা কিছুতেই হতে পারে না। স্যার কিছুতেই আমাকে ধোঁকা দিতে পারেন না।



৭-আমি কি কখনো হাঁড়ি চাই
প্রোগ্রামার স্বামী ল্যাপটপ নিয়ে কাজে মগ্ন। স্ত্রী এসে বলল, দাও না গো, একটু খেলি?
মনিটর থেকে চোখ না সরিয়ে উত্তর দিল প্রোগ্রামার, তুমি যখন রান্না করো, আমি কখনো হাঁড়ি চাই তোমার কাছে?


৮-

জানালাটা খুলে দিয়ে যান

মকবুল হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে—
মকবুল: দয়া করে তাড়াতাড়ি ৫০৬ নম্বর কক্ষে চলে আসুন।
হোটেল ম্যানেজার: কেন, সমস্যা কী?
মকবুল: আমার স্ত্রী জানালা দিয়ে লাফ মেরে আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে।
হোটেল ম্যানেজার: আপনি স্বামী হয়ে কিছু করছেন না। আর আমি হোটেল ম্যানেজার হয়ে কী করতে পারি, বলুন?
মকবুল: আরে ভাই, এখন কথা বলার সময় নয়। তাড়াতাড়ি চলে আসুন। কারণ, আমার স্ত্রী কিছুতেই জানালা খুলতে পারছে না। জানালাটা খুলে দিয়ে যান।


৯-বিবাহবার্ষিকী ভুলে গেলে
স্ত্রী বলছে স্বামীকে, বেসিক ইনস্টিংকট ছবিতে শ্যারন স্টোনের ওই বিশেষ দৃশ্যটির কথা তোমার মনে আছে?
—ওই দৃশ্য কখনো ভোলা যায়!
—ওই দৃশ্যের কথা মনে রেখেছ অথচ আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী, সেটা ভুলে গেলে কীভাবে?


১০-উঁচুগলায় কথা
স্ত্রী বলছে স্বামীকে, ‘কাল মা আসবে বেড়াতে।’
নীরবতা।
—মাত্র দুই সপ্তার জন্য।
নীরবতা।
—তুমি শুনছ, কী বললাম?
নীরবতা।
—আমি ঠিকই জানতাম, তুমি রেগে যাবে।
দীর্ঘশ্বাস!
—খবরদার, উঁচুগলায় কথা বলবে না আমার সঙ্গে!


১১-

নিষেধ করছো না কেন

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
স্ত্রী: শোনো, তোমার বন্ধু যে মেয়েটিকে বিয়ে করতে যাচ্ছে ওই মেয়ে কিন্তু অতোটা ভালো নয়।
স্বামী: এতে আমার সমস্যাটা কী?
স্ত্রী: আরে, জেনেশুনে তোমার বন্ধু খারাপ মেয়েকে বিয়ে করবে! তুমি তাকে নিষেধ করছো না কেন?
স্বামী: আমি কেন তাকে নিষেধ করবো! আমি যখন বিয়ে করি তখন তো সে আমাকে নিষেধ করে নি।


১২-

স্ত্রী নিখোঁজ

মোতালেব পুলিশের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে—
মোতালেব: স্যার, আমার স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে গেছে। দয়া করে তাকে একটু খুঁজে দিন না।
পুলিশ: কবে থেকে নিখোঁজ হয়েছেন তিনি?
মোতালেব: মাসখানেক তো হবেই।
পুলিশ: বলেন কী! তা এতোদিন আমাদের জানান নি কেন?
মোতালেব: আমার যে স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে এই বিষয়টিই মনে ছিল না, স্যার।
পুলিশ: আজ কী করে মনে হল?
মোতালেব: স্যার, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার পড়ার মতো পরিস্কার কোনো কাপড়-চোপড় না দেখেই মনে হল, আসলেই আমার স্ত্রী নিখোঁজ!


১৩-

খুশিতে…

বাবলুর বউ কাউকে কিছু না বলে দুই দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। দুই দিন পর বাবলুর বউ ফিরে না আসায় বাবলু এক দৌড়ে পোস্টঅফিসে গিয়ে পোস্টমাস্টারকে বলল, ‘ভাই, আমার স্ত্রী দুই দিন আগে বাড়ি থেকে চলে গেছে।’
পোস্টমাস্টার বললেন, ‘আরে ভাই এটাতো পোস্টঅফিস। আপনি থানায় গিয়ে অভিযোগ না করে এখানে এসেছেন কেন?’
‘কী করবো স্যার, খুশিতে আজকে কোনো কিছুই মাথায় আসছে না যে!’—বাবলুর জবাব।


১৪-

কাজগুলো আগেই সেরে ফেলেছিলাম

হাবলু অফিস থেকে বাসায় ফিরেই টেলিভিশনটা ছেড়ে দিয়ে স্ত্রীকে বলল, ‘কিছু শুরু হওয়ার আগে আমাকে এক গ্লাস পানি দাও তো?’
হাবলুর স্ত্রী পানি এনে দিল। ঠিক পনের মিনিট পর হাবলু আবারো তার স্ত্রীকে বলল, ‘কিছু শুরু হওয়ার আগে আমাকে গরম গরম এক কাপ চা দাও তো?’
হাবলুর স্ত্রী একটু রেগে গিয়ে রান্নাঘর থেকে এক কাপ চা এনে দিল। চা শেষ করার কিছুক্ষণ পরেই হাবলু আবার তার স্ত্রীকে বলল, ‘শুরু হওয়ার আগে তুমি তাড়াতাড়ি আমার জন্য এক বালতি গরম পানি এনে দাও তো। কারণ, যে কোনো মুহুর্তে সেটা শুরু হয়ে যেতে পারে।’
এবারে হাবলুর স্ত্রী রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে চিৎকার করে বলল, ‘হচ্ছেটা কী শুনি? তুমি এমন করছো কেন আমার সঙ্গে? আজই আমি বাবার বাড়ি চলে যাবো। থাকো তুমি একা।’
‘বলছিলাম না যে কোনো মুহুর্তে শুরু হয়ে যাবে। এই বার সেটা শুরু হয়ে গেল। যাক বাবা, কাজগুলো আগেই সেরে ফেলেছিলাম।’


১৫-বউ কাঁদছে
রিয়াজ: তোর বউ কি কাঁদছে নাকি?
সাইফ: হ্যাঁ।
রিয়াজ: কেন?
সাইফ: জানতে চাইনি, চাচ্ছিও না।
রিয়াজ: সেকি! কেন?
সাইফ: কারণ এর আগে যতবার জানতে চেয়েছি প্রতিবার আমাকে দেনায় ডুবতে হয়েছে।


১৬-দুই জন থেকে তিন জন
বিল্টু গ্রামে তার মায়ের কাছে ফোন করেছে—
বিল্টু: মা, একটা সুখবর আছে।
মা: বলিস কি! তাড়াতাড়ি বলে ফেল।
বিল্টু: এখন থেকে আমরা দুই জন থেকে তিন জন হয়ে গেছি, মা।
বিল্টু: এই সুখবরটা এত দেরিতে বললি কেন? তা ছেলে না মেয়ে হয়েছে রে?
বিল্টু: ওসব কিছু না। আমার বউ আরেকটি বিয়ে করে ফেলেছে, মা!


১৭-বউর সাথে ঝগড়া
সাইফ: তুই তোর বউর সাথে ঝগড়া করিস?
রিয়াজ: হ্যাঁ, করি। তবে প্রতিবার ঝগড়ার শেষে ও এসে হাঁটু গেড়ে আমার সামনে বসে পড়ে।
সাইফ: বলিস কী! তারপর?
রিয়াজ: তারপর মাথা ঝুঁকিয়ে বলে, ‘খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসো। আর মারব না।’


১৮-আক্কেল
স্ত্রী: এ্যাই, খেলার চ্যানেল পাল্টাও, আমি এখন রেসিপির অনুষ্ঠান দেখব।
স্বামী: রেসিপির অনুষ্ঠান দেখে কি লাভ, তুমি কোনো দিন ওসব রান্না করবে নাকি?
স্ত্রী: এই বুড়ো বয়সে তুমিই বা ক্রিকেট খেলা দেখ কোন আক্কেলে?


১৯-

মেয়েলি যুক্তি

‘তুমি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো?’ একদিন সে জিজ্ঞেস করল স্বামীকে।
‘এ ধরনের প্রশ্ন করে তুমি কিন্তু আমাকে অপমান করছ।’ আহত স্বরে বলল স্বামী, ‘এত দিন একসঙ্গে ঘর করার পর…।’
‘তাহলে তুমি কথায় নয়, কাজে প্রমাণ করে দেখাও। … না, চুমু খাওয়া শুরু করতে হবে না। পুরুষেরা এ কাজ খুব পারে। তারচেয়ে বলো, আমার মনমেজাজ সব সময় ভালো থাক, তা কি তুমি চাও?’
‘অবশ্যই চাই।’
‘মুখের চামড়ার সুন্দর রং?’
‘নিশ্চয়ই।’
‘কাজ থেকে ফিরে এসে যেন ক্লান্ত হয়ে না পড়ি?’
‘অবশ্যই।’
‘তুমি কি চাও, আমার পরনে সব সময় লেটেস্ট ফ্যাশনের পোশাক থাক?’
‘চাই।’
‘আমার স্বামীর কারণে আমাকে যেন লজ্জা পেতে না হয়, বরং তাকে নিয়ে যেন গর্ব করতে পারি?’
‘খু-উ-ব চাই।’
‘যেন সে আমাকে নিজের মার্সিডিজে চড়িয়ে থিয়েটারে নিয়ে যায়?’
‘চাই, কিন্তু শুধু আমার ভালোবাসা দিয়ে কি এত কিছু সম্ভব হবে?’
‘আমি কিন্তু তোমার কাছে অসম্ভব কিছু দাবি করছি না। তবে এই শুভকামনাগুলো তোমার যদি আমার জন্য সত্যিই থেকে থাকে এবং তুমি যে রকম বলছ, যদি সে রকম আমাকে ভালোবাসো…।’
‘অবশ্যই বাসি।’
‘তাহলে এক্ষুনি আমাকে ডিভোর্স দাও।’


২০-সূর্যের গরমে তেষ্টা পাবে
অভিযোগের সুরে স্ত্রী স্বামীকে বলল, বিয়ের আগে তুমি বলতে, আমি নাকি তোমার ‘সূর্য’। তাহলে এখন প্রতিদিন বারে গিয়ে বিয়ার খাও কেন?
—কী আশ্চর্য! সূর্যের গরমে তেষ্টা পাবে, সেটাই স্বাভাবিক না?


২১-

শুরু করার আগে

অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও, খেয়ে নিই।’
স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী ড্রয়িংরুমের সোফায় বসতে বসতে বলল, ‘শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি দাও…বড্ড তেষ্টা পেয়েছে।’
স্ত্রী পানি দিয়ে গেল।
পানি খেতে খেতে স্বামী বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে।’
এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘অ্যাই, পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…নির্লজ্জ, অসভ্য, ছোটলোক, স্বার্থপর…’
স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।’


২২-

জলদি ঝাঁপ দাও

সমুদ্রতীরে মাছ ধরছে এক দম্পতি। স্বামীর বড়শিতে টোপ গিলল এক বিশাল স্যামন মাছ। কিন্তু হুইল গুটিয়ে সেটাকে তীরে আনার আগেই সুতো-মাছ সব জড়িয়ে গেল সমুদ্র শৈবালের স্তূপে। স্বামী চিত্কার করে স্ত্রীকে বললেন, ‘ওগো, জলদি করো! ঝাঁপ দাও! সাঁতরে চলে যাও ওই শ্যাওলাগুলোর কাছে! ডুব দিয়ে সুতোটা ছাড়াও। নইলে হাঙরগুলো মাছটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে!’


২৩-এমন স্ত্রী পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার
স্বামী তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিতে আদালতে গেছেন—
স্বামী: আমি আমার স্ত্রীকে আজই তালাক দিতে চাই। আপনি একটু ব্যবস্থা করুন।
আইনজীবী: কেন, সমস্যা কী আপনাদের?
স্বামী: আমার স্ত্রী প্রায় ছয় মাস ধরে আমার সঙ্গে কথা বলে না।
আইনজীবী: আরেকবার ভেবে দেখুন। এমন স্ত্রী পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার।


২৪-পাগল তো সবকিছুই করতে পারে
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
স্ত্রী: আচ্ছা, যদি আমি মরে যাই তাহলে তুমি কী করবে?
স্বামী: আমি পাগল হয়ে যাব।
স্ত্রী: তুমি কি পরে আবার বিয়ে করবে?
স্বামী: পাগল তো সবকিছুই করতে পারে, তাই না



২৫-ছাগলকেই জিজ্ঞেস করেছি
রঞ্জু রাগ করে বাসা ছেড়ে চলে গেছে। কিছুদিন পর রঞ্জু একটি ছাগল নিয়ে বাসায় এল।
এটা দেখে রঞ্জুর স্ত্রী বলল, ‘ওই বদমাশটাকে নিয়ে এলে কেন?’
রঞ্জু রেগে বলল, ‘বদমাশ বলছ কেন, দেখছ না এটা ছাগল!’
‘আমি তো ছাগলকেই জিজ্ঞেস করেছি।’—রঞ্জুর স্ত্রীর জবাব।


২৬-শেষ দিন পর্যন্ত থেকে যাবে
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা নিয়ে কথা হচ্ছে—
স্বামী: তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি।
স্ত্রী: তাই নাকি!
স্বামী: জানো, তোমার জন্য আমি পৃথিবীর শেষ সীমানা পর্যন্ত যেতে পারি।
স্ত্রী: হুমম, কিন্তু কথা দাও, আমার জন্য হলেও তুমি সেখানে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থেকে যাবে।


২৭-দ্বিগুণ ভালোবাসি
কঠিন ঝগড়ার পর স্ত্রী মুখ গোমড়া করে বসে আছে দেখে বিল্টু তার স্ত্রীকে বলল, ‘মানুষ তাকেই থাপড় মারতে পারে, যাকে কিনা প্রচণ্ড ভালোবাসে।’
এ কথা শুনেই বিল্টুর স্ত্রী বিল্টুর গালে কষে দুই থাপড় মেরে বলল, ‘তুমি কি ভাবছ যে আমি তোমাকে ভালোবাসি না! দেখলে এবার, আমি তোমাকে দ্বিগুণ ভালোবাসি।’


২৮-

সন্তানসন্ততির দায়ভার

এক দম্পতি আদালতে গেছেন তালাক দিতে। কিন্তু স্ত্রী তালাক দিতে নারাজ। আদালতে বেশ কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন তিনি।
বিচারক ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কাঁদছেন কেন? তালাক হলে তো আপনার স্বামী আপনাকে খোরপোষ দেবেন। তাতে তো ভালোই চলে যাওয়ার কথা।’
ভদ্রমহিলা বললেন, ‘আমাদের ৪৫ বছর বিয়ের বয়সে ১৬ জন সন্তান হয়েছে। আর নাতি-নাতনি মোট ২৩ জন।’
বিচারক বললেন, ‘তাতে সমস্যাটা কী?’
ভদ্রমহিলা বললেন, ‘কিন্তু বিয়ের সময় আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, তালাক হলে সব সন্তানসন্ততির দায়ভার যে আমাকেই বহন করতে হবে।’

২৯-মাছি মারা
বসে বসে পতিপ্রবরের মাছি মারা দেখে স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করছে—
স্ত্রী: কী করছ তুমি?
স্বামী: দেখছ না, মাছি মারছি।
স্ত্রী: তা কয়টা হলো?
স্বামী: তিনটা পুরুষ আর দুইটা স্ত্রী মাছি মারলাম।
স্ত্রী: কী করে পুরুষ-স্ত্রী বুঝলে?
স্বামী: কারণ, দুইটা মাছি ফোনের কাছে ঘুরঘুর করছিল, আর তিনটা মাছি দূর থেকে তা দেখছিল।


৩০-কিপ্টেমি
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথোপকথন—
স্বামী: পাশের ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে একটু চিনি নিয়ে এসো তো?
স্ত্রী: ওরা আমাদের চিনি দেবে না।
স্বামী: ওরা তো খুব কঞ্জুস!
স্ত্রী: ওদের কিপ্টেমির কথা আর বোলো না।
স্বামী: তাহলে আর কী করা; আমাদের আলমারি থেকেই চিনি বের করে চা করে নিয়ে এসো যাও।


৩১-বিবাহবার্ষিকী পালন
বিবাহবার্ষিকী নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
স্ত্রী: তোমার কি মনে আছে, কাল আমাদের ১৩তম বিবাহবার্ষিকী?
স্বামী: হুমম, তো কী হয়েছে?
স্ত্রী: এই দিনটি কী করে পালন করব বলো তো?
স্বামী: তুমি কী করবে জানি না, তবে আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই মিনিট নীরবতা পালন করব।


৩২-রাতের খাবার
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর স্বামী বাসা থেকে চলে গেছেন। তাঁদের মধ্যে মুঠোফোনে কথা হচ্ছে—
স্বামী: আজ রাতের খাবার কী?
স্ত্রী: বিষ আছে বিষ!
স্বামী: ঠিক আছে, তুমি খেয়ে শুয়ে পড়ো। আমার ফিরতে আরও দেরি হবে।


৩৩-

মাছ ধরা

স্ত্রীর সঙ্গে এক বিখ্যাত চলচ্চিত্র তারকার সব সময় খিটিমিটি লেগে থাকত। মূল কারণটা হলো, স্বামী বেশির ভাগ সময় পার করতেন মাছ ধরে। খুঁজতে গিয়ে একদিন চলচ্চিত্র তারকার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফোন করে জানতে চাইলেন তিনি কোথায়।
‘ব্রিজের নিচে চলে যান’, শুষ্ক গলায় জবাব দিলেন তারকার স্ত্রী, ‘এদিক-ওদিক তাকান, তারপর যতক্ষণ পর্যন্ত না একটি লাঠির দুই মাথায় দুটি কেঁচো দেখতে পাবেন, ততক্ষণ খুঁজতে থাকুন।’


৩৪-ঘুষের টাকাতেই সংসার
ঘুষ নেবার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে চাকরিটা চলে গেল জামান সাহেবের। বিষন্ন মনে ঘরে ফিরলেন।
স্ত্রী সব শুনে তার মুখে হাসি ফোটবার জন্য বললেন, বরাবরই তো দেখি আসছি তোমার মাইনের টাকার চেয়ে ঘুষের টাকাই বেশি; এবার থেকে না হয় ঘুষের টাকাতেই সংসার চলবে; এত ঘাবড়াবার কী আছে?

৩৫-

দরজা খোলাই আছে

শীতের ঠান্ডায় গলা বসে গেছে সাংবাদিকটির, শরীরটাও জ্বর-জ্বর। তাই একটু আগে ভাগেই ছুটি নিয়ে বাড়িতে বিশ্রম করতে এলেন। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর নাম ধরে ডাকতে গিয়ে দেখেন, গলা একেবারে বসে গেছে। তাই অনন্যোপায় হয়ে পাঁচিল টপকে স্ত্রীর ঘরের জানালায় টোকা দিতে দিতে বন্ধ গলায় বললেন, দরজা খোল।
প্রায় সঙ্গে-সঙ্গে স্ত্রীর চাপা গলা শোনা গেল, দরজা খোলাই আছে, চলে এস। সাংবাদিক ফের ফিরে গেলেন অফিসে।

৩৬-

স্লিপ চালাচালি

স্বামী-স্ত্রীতে কথা বন্ধ। দু’পক্ষের মধ্যে স্লিপ চালাচালি চলছে ছোট ছেলের মাধ্যমে। ভোরে ট্রেন ধরতে হবে, তাই স্বামী লিখলেন- ‘ভোর সাড়ে তিনটায় জাগিয়ে দিও।’
যথারীতি ছোট ছেলের মাধ্যমে স্লিপ পৌছাল স্ত্রীর হাতে।
পরদিন ঘুম যখন ভাঙল, তখন সাতটা। স্বামী ধড়মড় করে উঠে দেখেন মাথার কাছে স্ত্রীর স্লিপ পড়ে রয়েছে। তাতে লেখা- এখন সাড়ে তিনটা বাজে। উঠে ট্রেন ধরতে যাও।

৩৭-কিছুই টের পাই নি
সকালে চায়ের টেবিলে একখানা ডিটেকটিভ বই ফেলে দিয়ে স্বামী স্ত্রীকে বলল, দারুণ বই, আমি কাল রাত দুটো পর্যন্ত এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ করেছি।
: কিন্তু কাল বারটার পরই লোডশেডিং হয়ে গেল যে। পড়লে কী করে?
: পড়তে পড়তে এতই মগ্ন ছিলাম যে কিছুই টের পাই নি।

৩৮-

তালি মেরে দিয়েছি

স্বামী অফিসে যাওয়ার সময় স্ত্রী বলল, একটা অন্যায় করে ফেলেছি। রাগ করবে না বল?
: তোমার ওপর কি রাগ করতে পারি? কী হয়েছে?
: ইস্ত্রি করার সময় তোমার প্যান্টের পিছনটা পুড়ে ফেলেছি।
: তাতে কী হয়েছে? আমার তো ঠিক ওই রকম আরো একটা প্যান্ট আছে।
: জানি, সেই প্যান্টটা কেটেই তো পোড়া প্যান্টটা তালি মেরে দিয়েছি।


৩৯-যতবার জানতে চেয়েছি
ড্রইংরুমে বসে আছে দুই বন্ধু। ভেতর থেকে কান্নার শব্দ আসছে।
: তোমার স্ত্রী কাঁদছে মনে হচ্ছে।
: হ্যাঁ।
: কী হয়েছে?
: জানতে চাই নি।
: সেকি। কেন?
: যতবার জানতে চেয়েছি ততবারই আমাকে দেনায় ডুবতে হয়েছে।


৪০-ট্রেন ফেল
ট্রেন ফেল করে স্টেশনে বসে আছে স্বামী-স্ত্রী।
স্বামী : আসার সময় তুমি যদি সাজগোজে এত দেরি না করতে, তা হলে এ ট্রেনটা মিস করতে হত না।
স্ত্রী : তুমিও যদি এ ট্রেনটা ধরবার জন্য এত তাড়াহুড়া না করে আসতে, তা হলে পরের ট্রেনের জন্য এতক্ষণ বসে থাকতে হত না।


৪১-

ছবিটা কার

স্বামীর মৃত্যুর কয়দিন পরেই এক মহিলা তার দেবরকে বিয়ে করে ফেললেন। তার বান্ধবীদের অনেকেই ব্যাপারটা মনঃক্ষুন্ন হল। একদিন মহিলার বাড়িতে বাড়িতে এসে তার বান্ধবীরা লক্ষ করল, শোবার ঘরের দেওয়ালে তার মৃত স্বামীর বিশাল একটা ছবি টানানো। সবাই খুব খুশি হল ছবি দেখে। এদের মধ্যে একজন ছিল নতুন। সে মহিলার স্বামীকে চিনত না। ছবি দেখে তাই জানতে চাইল, ছবিটা কার?
মহিলা বললেন, আমার ভাশুরের। কয়েকদিন আগে মারা গেছেন।


৪২-বিনিময়ে
স্বামীকে খাইয়ে নববধু সলজ্জ কন্ঠে জানতে চাইল, এভাবে পুরোটা বছর যদি রোজ রোজ তোমাকে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াই তা হলে বিনিময়ে আমি কী পাওয়ার আশা করতে পারি?
গম্ভীর মুখে স্বামী বলল, আমার জীবন বীমার সব টাকা।


৪৩-

বউয়ের চোখে শাড়ি

: কাল আমার ছেলেটার চোখে একটা বালি পড়ল। ডাক্তার দিয়ে বের করাতে গিয়ে এক শ’টাকা বেরিয়ে গেল।
: আরে ভাই, আমার তুলনায় ও তো কিসসু না। বেড়াতে বেরিয়ে বউয়ের চোখে একটা শাড়ি পড়েছিল : এক হাজার টাকা বেরিয়ে গেছে।


৪৪-বিবাহবার্ষিকী পালন
বিবাহবার্ষিকী নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
স্ত্রী: তোমার কি মনে আছে, কাল আমাদের ১৩তম বিবাহবার্ষিকী?
স্বামী: হুমম, তো কী হয়েছে?
স্ত্রী: এই দিনটি কী করে পালন করব বলো তো?
স্বামী: তুমি কী করবে জানি না, তবে আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই মিনিট নীরবতা পালন করব।


৪৫-রাতের খাবার
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর স্বামী বাসা থেকে চলে গেছেন। তাঁদের মধ্যে মুঠোফোনে কথা হচ্ছে—
স্বামী: আজ রাতের খাবার কী?
স্ত্রী: বিষ আছে বিষ!
স্বামী: ঠিক আছে, তুমি খেয়ে শুয়ে পড়ো। আমার ফিরতে আরও দেরি হবে।


৪৬-সবচাইতে বড় বন্ধু
: আমার স্ত্রী যার সঙ্গে পালিয়ে গেছে সে আমার সবচাইতে বড় বন্ধু।
: তাই নাকি? লোকটা কি দেখতে খুবই সুন্দর?
: কী জানি, জীবনে তাকে দেখি নি তো।


৪৭-স্ত্রী রাতে বারে যায়
দু’বন্ধুর মাঝে আলাপ হচ্ছে।
: স্ত্রীর জন্য আমার আর মুখ দেখাবার উপায় রইল না। রোজ রাতে বারে যায়।
: ছিঃ ছিঃ ছিঃ কী জঘন্য কথা! কী করে বারে গিয়ে?
: আমাকে টেনেহিঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।


৪৮-বোকার মতো টাকাটাই দিয়ে এলে
স্বামী: ওগো শুনছ, সর্বনাশ হয়ে গেল।
স্ত্রী: কী হয়েছে?
স্বামী: আজ মাইনে নিয়ে অফিস থেকে বাড়ি আসার পথে দুই ছোকরা পিস্তল দেখিয়ে বলল, হয় টাকা দাও না হলে জান দাও।
স্ত্রী: আর তুমিও বোকার মতো টাকাটাই দিয়ে এলে!


৪৯-

টাকাগুলো ওই ব্যাগেই আছে

এক চীনা ভদ্রলোক বাজারে যাওয়ার পথে ব্যাগ হারিয়ে হাঁড়িমুখো হয়ে ঘরে ফিরেছেন।
হাতে বাজারের ব্যাগ না দেখে তাঁর বদমেজাজি বউ খেঁকিয়ে উঠলেন, ‘হাত খালি কেন? বাজার কোথায় শুনি!’ ভদ্রলোক ঘাড় চুলকে বললেন, ‘ইয়ে মানে, বাজারে আজ পা ফেলার উপায় নেই। তার ওপর ব্যাগটাও হারিয়ে ফেলেছি!’
তা শুনে বউয়ের মেজাজের পারদ আকাশমুখী, ‘তা বেশ, টাকাগুলো আছে তো, নাকি তাও ফেলে এসেছ?’
ভদ্রলোক এ-গাল ও-গাল হাসি হেসে বললেন, ‘না, না, না ও নিয়ে চিন্তা কোরো না! টাকাগুলো ওই ব্যাগেই আছে। আর ব্যাগের মুখটাও কষে বেঁধেছিলাম আজ।’


৫০-স্ত্রীও দেখে ফেলেছে
প্রথম বন্ধু: কিরে, তোর চোখের ওপর ব্যান্ডেজ কেন? গালেও তো দেখছি চোট লেগেছে। গতকাল সন্ধ্যায়ও না দেখলাম এক সুন্দরী মহিলার সঙ্গে পার্কে বসে আছিস! এরই মধ্যে হঠাৎ কী হলো?
দ্বিতীয় বন্ধু: গতকাল তুই যা দেখেছিলি আমার স্ত্রীও তা দেখে ফেলেছে।



৫১-কোথায় যাওয়া যায়
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে।
স্ত্রী: চিকিৎসক আমাকে এক মাসের জন্য কোন পাহাড়ি এলাকায় বেড়িয়ে আসতে বলেছেন। বল তো কোথায় যাওয়া যায়?
স্বামী: কেন! অন্য চিকিৎসকের কাছে।


৫২-সারপ্রাইজ গিফট
: তোর স্যুটটা তো বেশ সুন্দর। কোথায় পেলি?
: এটা আমার স্ত্রী আমাকে দিয়েছে একটা সারপ্রাইজ গিফট হিসেবে।
: কেমন সারপ্রাইজ গিফট?
: আমি অফিস থেকে ফিরে দেখি সোফার উপর এই স্যুটটা পড়ে আছে।


৫৩-

নারী বনাম পুরুষ

হাতের লেখা
পুরুষ : লেখা কোনো রকমে পড়া গেলেই হলো। কাকের ঠ্যাং-বকের ঠ্যাং কী হচ্ছে তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায় না।
নারী : লেখা হতে হবে মুক্তোর মতো ঝরঝরে।
কেনাকাটা
নারী : প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লিস্ট বানিয়ে বাজারে গিয়ে সেগুলো কিনে আনে।
পুরুষ : যতক্ষণ না বাড়ির চাল-ডাল সব শেষ বলে বউ চেঁচাতে শুরু করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যেতে চায় না। বাজারে গিয়ে যা পছন্দ হয় তা-ই কিনতে চায়। কখনো কখনো দাম দিতে গিয়ে দেখে, সে মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছে।
মিতব্যয়িতা
নারী : এক টাকা দামের জিনিসের জন্য কখনোই দুই টাকা খরচ করবে না। তা সে যত পছন্দসই হোক না কেন।
পুরুষ : যা পছন্দ হবে তা কিনতেই হবে। জিতে কিংবা ঠকে যেভাবেই হোক।
তর্ক
নারী : তর্কাতর্কির শেষ কথাটি হবে নারীর।
পুরুষ : নারীর পর পুরুষের কথা বলা মানে নতুন তর্কের শুরু।
প্রেম
পুরুষ: প্রতিটি পুরুষই চায় কোনো নারীর প্রথম প্রেম হতে।
নারী: নারীরা চায় তারা তাদের ভালোবাসার পুরুষটির শেষ প্রেম হোক।
ব্রেকআপ
নারী : সম্পর্ক ভেঙে গেলে কাছের কোনো বান্ধবীকে জড়িয়ে হাপুস নয়নে কাঁদতে থাকে। কিংবা ‘পুরুষ বড় নির্বোধ’ জাতীয় কবিতা লেখা শুরু করে এবং নতুনভাবে জীবনটা শুরু করার চেষ্টা করে।
পুরুষ : ব্রেকআপ হওয়ার ছয় মাস পরও সাবেক প্রেমিকাকে রাতবিরেতে ফোন করে ‘ডাইনি, তুই আমার জীবনটা শেষ করে দিলি’—এ জাতীয় ডায়ালগ ঝাড়তে থাকে।
বিয়ে
নারী : মনে করে বিয়ের পর হাজব্যান্ড বদলে যাবে, কিন্তু তা হয় না।
পুরুষ : মনে করে প্রেমিকা স্ত্রী হওয়ার পরও একই রকম থাকবে। কিন্তু স্ত্রী বদলে যায়।
স্মৃতি
নারী : যে পুরুষটি তাকে বিয়ে করতে চায় তাকে সারা জীবন মনে রাখে।
পুরুষ : সেসব নারীকে মনে রাখে যাদের সে বিয়ে করেনি।
বাথরুম
পুুরুষ : সাধারণত ছয়টি জিনিস থাকে। সাবান, সেভিং ক্রিম, রেজর, টুথব্রাশ, আর তোয়ালে (ক্ষেত্রবিশেষে কোনো হোটেল থেকে চুরি করা)।
নারী : সাবান, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট তো আছেই সেই সঙ্গে শ্যাম্পু, চিরুনি, লিপস্টিক….আরও কত কী! বেশির ভাগ জিনিস পুরুষেরা চিনবেই না।
জুতো
নারী : গরমের দিনে অফিস ডেস্কের নিচে পা ঢুকিয়ে জুতো খুলে রাখে।
পুরুষ : সারা দিন এক জুতা-মোজাই পায়ে দিয়ে রাখে।
পশু-পাখি
নারী : পশু-পাখি ভালোবাসে।
পুরুষ : পশু-পাখিকে কষ্ট দিতে ভালোবাসে।
সন্তান
নারী : নারীরা তাদের সন্তানদের পুরোপুরি চেনে। তাদের সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন, বন্ধু, গোপন ভয় এমনকি গোপন প্রেম সম্পর্কেও তারা জানে।
পুরুষ : নিজের বাড়িতে মোট কয়জন মানুষ আছে তা-ও সব সময় মনে রাখতে পারে না।
অলংকার
নারী : যেকোনো ধরনের অলংকার পরলেই নারীদের সুন্দর দেখায়।
পুরুষ : বড়জোর একটা আংটি কিংবা ব্রেসলেট। এর চেয়ে বেশি কিছু পরলেই লোকে মন্দ বলতে শুরু করে।
বন্ধু
নারী : বান্ধবীরা মিলে আড্ডা দিতে গেলে নিজেদের সুখ-দুঃখের আলাপেই ব্যস্ত থাকে।
পুরুষ : পুরুষদের আড্ডায় ‘দোস্ত তোর লাইটারটা দে তো’ জাতীয় কথাবার্তাই বেশি শোনা যায়।
বাইরে খাওয়া
নারী : ভাগাভাগি করে বিল দেয়।
পুরুষ : সবাই চায় অন্যের ওপর বিল চাপিয়ে দিতে। কারও কাছেই ভাংতি থাকে না।
কাপড় ধোয়া
নারী : প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত কাপড় কাচে।
পুরুষ : চিমটি কাটলে ময়লা বের না হওয়া পর্যন্ত কাপড়ে সাবান ছোঁয়ায় না।



৫৪-

গলা নামিয়ে বলো

এক কৃষক খালি হাতে মাঠ থেকে ঘরে ফিরে এল।বউ জিজ্ঞেস করল, আরে, তোমার কোদাল কোথায়?
গলা চড়িয়ে কৃষক বলল, যাহ, কোদাল ভুলে মাঠে ফেলে এসেছি।
বউ শান্ত গলায় বলল, গলা নামিয়ে বলো। কথাটা কেউ যদি শুনতে পায় তা হলে সে মাঠে গিয়ে তোমার কোদাল চুরি করে নিয়ে যাবে। যাও, তাড়াতাড়ি মাঠে গিয়ে কোদাল নিয়েএসো।
কৃষক তাড়াতাড়ি মাঠে গেল। কিন্তু কোথায় কোদাল? চুরি হয়ে গেছে।
বাড়ি ফিরে কৃষক গলা নামিয়ে বউয়ের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, কোদাল চুরি হয়ে গেছে।


৫৫-এক ছাদের নিচে জীবন পার
সবার বাড়ির ওপর একটা ছাদ থাকে। তোর বাড়ির ওপর তো দেখছি বারোটা ছাদ, ঘটনা কী?
: হ্যাঁ, মাসে মাসে আবার সেগুলো পরিবর্তনও হয়।
: কেন?
: আমার স্ত্রী যাতে বলতে না পারে এক ছাদের নিচে জীবন পার করে দিলাম।


৫৬-

বইয়ের নাম—খোয়াবনামা

বিবাহবার্ষিকীর রাতে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী তার স্বামীকে বলল, ‘শোনো, আমি স্বপ্ন দেখলাম যে তুমি আমাকে কাল সকালে একটি নেকলেস ও হীরার আংটি দিচ্ছ। এর মানে কী, তুমি বলতে পার? তুমি কি সত্যিই আমাকে এগুলো কিনে দেবে?’
শুনেই স্বামীর পিলে চমকে গেল। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্বামী হন্তদন্ত হয়ে বাইরে গেলেন। কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন কাগজে মোড়ানো একটি প্যাকেট নিয়ে। প্যাকেট দেখেই স্ত্রীর তো চোখ-মুখ হাসিতে ঝলমল। দ্রুত স্ত্রী প্যাকেট খুললেন। ভেতরে একটা বই। বইয়ের নাম—খোয়াবনামা।


৫৭-সম্মোহনবিদ্যা
স্বামী: সম্মোহনবিদ্যা আবার কী গো?
শিক্ষিত স্ত্রী: সম্মোহনবিদ্যা জানলে দ্বিতীয় কোনো মানুষকে নিজের বশে রেখে তাকে দিয়ে ইচ্ছেমতো কাজ করানো যায়।
স্বামী: ওটা আবার সম্মোহনবিদ্যা নাকি? ওটা তো বিয়ে।


৫৮-

স্বামীর কাজ

প্রবীণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাত্কার নিতে এসে সাংবাদিক জানতে চাইলেন, ‘আচ্ছা, আপনি বিয়ে করেননি কেন?’ মুচকি হেসে রাজনীতিবিদ বললেন, ‘এর পেছনে রয়েছে একটি ঘটনা। আজ থেকে বিশ বছর আগে একদিন এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আমার সামনেই বসে ছিলেন শাড়ি পরা এক মহিলা। আমি চেয়ার থেকে উঠতে গেলে হঠাত্ তাঁর শাড়িতে একটু পা লেগে যায় আমার। নিচের দিকে তাকিয়েই মহিলা গাধা, উল্লুক, টিকটিকি, বেবুন, হনুমান, মুখপোড়া বলে শুরু করেন গালাগাল। হঠাত্ মুখ তুলে আমাকে সামনে দেখতে পেয়ে বলেন, “দুঃখিত, কিছু মনে করবেন না। আমি ভেবেছিলাম এটা বুঝি আমার স্বামীর কাজ”।’


৫৯-কবে পুরোপুরি মনে হবে
গিন্নি : তোমাকে ঠিক গাঁজাখোরের মতো দেখতে লাগছে।
কর্তা : এখনো মতো। বল কী গিন্নি? গত ত্রিশ বছর ধরে গাঁজা খাচ্ছি, তবুও ‘মতো’
তবে কবে পুরোপুরি মনে হবে।


৬০-

সুদসহ ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম

স্ত্রী, পুত্র, কন্যাসহ জামাই এলেন শ্বশুরবাড়ি। বললেন, আমি সন্ন্যাস নেব স্থির করেছি।
: সে কী ! সন্ন্যাস নেবে কেন?
: পরকালের কাজ করব তাই। যাই হোক আমি সন্ন্যাস গ্রহণের আগে কারো কাছে কোনো ঋণ রাখব না। সব শোধ করে দিয়ে যাব।
: আমার কাছে তো তোমার কোনো ঋণ নেই।
: আছে দশ বছর আগে আপনি আমাকে কন্যা সম্প্রদান করেছিলেন। আজ তা সুদসহ ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম।


৬১-জীবনের সবচেয়ে বড় অশান্তি
দুই বান্ধবীর বহু বছর পর দেখা। এক বান্ধবী অপরজনের হাতের দামি হীরার আংটির প্রশংসা করায় বান্ধবী বলল, ‘আংটিটা সুন্দর, কিন্তু এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অশান্তি বয়ে নিয়ে এসেছে, আমার স্বামীকে।’

৬২-পর্দানশিন
আরব দেশে এক লোক কুৎসিত এক মহিলাকে বিয়ে করল। রীতি অনুযায়ী মহিলা খুবই পর্দানশিন। তো বাসররাতে মহিলা স্বামীকে বলল-
: মালিক আমি কি আপনার বন্ধুদের সামনে পর্দা করব?
: দীর্ঘশ্বাস ফেলে স্বামী বললেন-“ওদের সামনে পর্দা করার দরকার নেই, আমার সামনে কোরো।”


৬৩-

গানের গীতিকার

গান শুনতে এসে মঞ্চে বসা আরেক ব্যক্তির সাথে কথা বলছেন এক শ্রোতা।
: ওফ ! অবস্থাটা দেখেছেন? যেমন গায়িকার চেহারা তেমনই গলা। যেন করাত দিয়ে কাঠ কাটছে।
: সে আমার স্ত্রী-ভদ্রলোক প্রত্যুত্তরে জানালেন।
: ও…ইয়ে…আসলে গলার তেমন দোষ নেই তবে গানের জঘন্য কথাগুলোর জন্য তা গাইতে সমস্যা হচ্ছে। এসব গর্দভ গীতিকারদের গান আপনার স্ত্রীকে গাইতে দেন কেন?
: এই গানের গীতিকার আমিই।-ভদ্রলোক আবার বললেন।

৬৪-ব্যক্তিগত ও অতি গোপনীয়
নতুন এক গয়নার দোকানের মালিক সিদ্ধান্ত নিলেন তাদের দোকানের বিজ্ঞাপন শহরের প্রতিটি বিবাহিত মহিলার হাতে পৌছে দিতে হবে। তিনি বিজ্ঞাপনগুলো খামে ভরে তাদের স্বামীদের নামে পাঠিয়ে দিলেন, আর খামের ওপরে লিখে দিলেন- ব্যক্তিগত ও অতি গোপনীয়।

৬৫-খুঁড়ে বের করা হয়নি
: আমার স্ত্রী আর আমি এ বছর সি বিচে গিয়ে খুব মজা করেছি।
: কী রকম?
: প্রথমে বালিতে ও আমাকে কবর দিল, পরেরবার দিলাম আমি-
: যাহ দারুণ।
: দেখি আগামী বছর আবার যাব, ওকে খুঁড়ে বের করা হয়নি কিনা।


৬৭-টিকিট কেটেছিলেন আমার স্বামী
: আচ্ছা আপনি ছুটিতে কি সিঙ্গাপুর গিয়েছেলেন?
: ঠিক বলতে পারছি না টিকিট কেটেছিলেন আমার স্বামী।


৬৮-ফরাসি শিশুকে দত্তক
এক নবদম্পতিকে দেখা গেল হঠাৎ করে ফ্রেঞ্চ শেখা শুরু করেছে। তাদের প্রতিবেশী কারণ জানতে চাইল, “আপনারা হঠাৎ করে ফরাসি ভাষা শিখছেন ব্যাপার কী?”
“আমরা যে একটা ফরাসি শিশুকে দত্তক নিয়েছি।”

৬৯-নিজের ছেলেকেও
এক দার্শনিক একটি ছেলে কোলে করে বাড়ি ঢুকলেন। স্ত্রীকে বললেন, দেখ, এতটুকু ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে, বড় মায়া হল, ওকে কোলে করে নিয়ে এলাম। ওকে আমাদের খোকার সঙ্গে মানুষ কর।
দার্শনিকের স্ত্রী মুখ ঝামটা দিয়ে উঠলেন, তুমি কি চোখের মাথা খেয়েছ? নিজের ছেলেকেও চিনতে পারছ না?

৭০-খুব উত্তেজিত মহিলা তো
: জানিস আমাদের ডাক্তারবাবু খুব ভুলো।
: যেমন।
: বিয়ের দিন পুরোহিত যখন মন্ত্র পড়াতে পড়াতে ওর হাতে স্ত্রীর হাত তুলে দিলেন, উনি স্ত্রীর নাড়ি টিপে ধরে বললেন-খুব উত্তেজিত মহিলা তো। তারপর বললেন, জিভ দেখি।


৭১-

বাড়িটা সত্যিই লোভনীয়

একটি বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল পত্রিকায়। সেটি দেখে একজন ক্রেতা এলেন বাড়ি কিনতে। বাড়ির মালিক বললেন, বাড়ি বিক্রি করব না।
: সে কী? তবে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন কেন?
: বিজ্ঞাপন আমি দিলেও, লিখেছে তো কোম্পানির লোক।
: কিন্তু আপনার কথামতোই তো লিখেছে।
: তা লিখেছে। কিন্তু পড়ে মনে হচ্ছে বাড়িটা সত্যিই লোভনীয়। তাই আমি এবং আমার স্ত্রী ঠিক করেছি, বাড়িটা আর বিক্রি করব না।

৭২-

তুমিই আমার সব দুর্ভাগ্য

এক ব্যক্তি দুর্ঘটনায় পড়ে কোমাতে চলে যান। স্ত্রী কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন তার সেবা করল । ঐ ব্যক্তির জ্ঞান যখন ফিরল তিনি দেখলেন তার স্ত্রী পাশে দাঁড়িয়ে। এরপর তিনি স্ত্রীকে বললেন, ‘প্রিয়তমা, তুমি আমার সকল দুঃসময়ে আমার সঙ্গে ছিলে। যখন আমার চাকরি চলে গেল, তখনও তুমি আমার পাশে ছিলে। যখন আমি ব্যবসায় মার খেলাম তখনও তুমি আমার সঙ্গে ছিলে। যখন সন্ত্রাসীরা গুলি করল তখন তো তুমি আমার সঙ্গেই ছিলে। যখন আমি বাড়িটা হারালাম তখনও তুমি আমার সঙ্গে ছিলে। এমনকি যখন আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম তখনও তুমি আমার ছেড়ে যাও নি। এখন এসব কথা যখন ভাবি তখন আমার কী মনে হয় জান?’
: প্লিজ চুপ কর তো, তুমি অসুস্থ।
: না আমাকে শেষ করতে দাও … মনে হয় তুমি … তুমিই আমার সব দুর্ভাগ্য টেনে এনেছ।


৭৩-এমনই মিথ্যে বলে
সার্জেন্ট প্রচন্ড গতির গাড়িকে থামাল
সার্জেন্ট : কেন আপনার গাড়ি থামিয়েছি বুঝতে পারছেন?
চালক : ১০০ কিলোমিটার স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছি তাই …?
স্বামীকে আশু বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করতে তার পাশে বসা স্ত্রী বলে উঠল-
: না না অফিসার, ওর কথা বিশ্বাস করবেন না! মদে চুর হলে ও এমনই মিথ্যে বলে।


৭৪-

একজন না, হাজার হাজার

রেডিওর বিশেষ বুলেটিন, ‘এই মুহুর্তে একজন ভয়ঙ্কর পাগল প্রচন্ড স্পিডে মেইন রোডে উল্টো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।’ এমন খবর শুনে এক বৃদ্ধা সাথে সাথে তার স্বামীকে মোবাইলে ফোন করল যে কি না একটু আগেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে। স্ত্রীর সাবধান বানী শুনে বৃদ্ধা বলল- ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি দেখতে পাচ্ছি … কিন্তু শুধু একজন না, হাজার হাজার ।


৭৫-

ট্যাক্সি ডেকে দিচ্ছি

: আচ্ছা এ কথা কি সত্যি যে তুই তোর বন্ধুর স্ত্রীর সাথে পালিয়ে বিয়ে করার চিন্তা করেছিলি ?
: হ্যাঁ ! সেদিন রাতে ওকে নিয়ে পালানোর জন্য ওর বাড়ি পর্যন্ত ও গিয়েছিলাম।
: তাহলে তাকে নিয়ে পালালি না কেন?
: আর বলিস না, বাড়ির মুখেই আমার বন্ধুর সাথে দেখা! সে আমাকে দেখেই খুশিতে ডগমগ হয়ে বলল ‘দাঁড়া, তোদের ট্যাক্সি ডেকে দিচ্ছি’।


৭৬-আরাম করে দেখব
স্বামী-স্ত্রীর কথা হচ্ছে-
: আচ্ছা এভাবে যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে, তাহলে আমরা কী করব ?
: সবাই যখন কষ্ট করে জিনিসপত্র কিনবে আমরা আরাম করে বসে বসে দেখব।


৭৭-অন্য লোকের বাড়িতে
: আপনি এত রাতে অন্য লোকের বাড়িতে ঢুকেছিলেন কেন ?
: ভেবেছিলাম ওটা আমার বাড়ি।
: তাহলে সে বাড়ির মহিলাকে দেখে আবার ছুটে বেরিয়ে এসেছিলেন কেন ?
: ভেবেছিলাম সে আমার স্ত্রী …।


৭৮-সাধু হতে
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার এক সময়ে স্ত্রী রেগে বলল-‘আমি আমার বাবার সব সম্পতি সাধুদের বিলিয়ে দেব। একথা শুনে স্বামী ব্যাগ গুছাতে শুরু করল। স্ত্রী আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল-
: এ কী ! কোথায় চলবে ?
: সাধু হতে- স্বামী জানাল।



৭৯-

তুচ্ছ জিনিস ভেসে ভেসে ফেরত আসে

স্ত্রীকে নদীতে সাঁতার কাটতে নামিয়েছে জনৈক ব্যক্তি। হঠাৎ প্রচন্ড স্রোতে স্ত্রী ভেসে মহিলা চিৎকার করে উঠল-
: সর্বনাশ ! আমার হীরের আংটিটা পানিতে ডুবে গেছে।
দুঃখিত স্ত্রীকে সান্ত্বনা দিয়ে স্বামী বলল-
: এ নিয়ে মন খারাপ কোরো না গো, জীবনটাই আসলে এরকম। যত দামি, মুল্যবান জিনিসগুলো হারিয়ে যায় অতল গহ্বরে, আর যত ফালতু তুচ্ছ জিনিস ভেসে ভেসে ফেরত আসে জোয়ারের সাথে।


৮০-

মুখের সামনে ব্রিফকেস

মাতাল হয়ে অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছে এক ব্যক্তি। চুপি চুপি বেডরুমে ঢুকে দেখে স্ত্রী বাথরুমে গেছে। সে যে মদ খেয়ে এসেছে এটা যাতে স্ত্রী বুঝতে না পারে সেজন্য জলদি বিছানায় উঠে একটা মোটা বই খুলে পড়ার ভান করতে লাগল। একটু পর স্ত্রী বাথরুম থেকে বের হয়েই চিৎকার -চেঁচামেচি শুরু করল-
: আবারো আজ মদ খেয়ে এসেছ তাই না ?
: মোটেই না একদম বাজে কথা।
বলি, তাহলে মুখের সামনে অমন করে ব্রিফকেসটা খুলে ধরে রেখেছ কেন?


৮১-

যখন জায়গা হত না

৪০তম বিবাহবার্ষিকীতে এক মহিলার হঠাৎ মনে পড়ল বিয়ের প্রথম রাতে তার স্বামী তাকে বলেছিল সে যা খুশি করতে পারে কিন্তু শুধু যেন বিছানার নিচে রাখা কাঠের ছোট বাক্সটা না খোলে । এতদিন ধরে স্ত্রী কখনো সেটা ছুঁয়েও দেখে নি। কিন্তু ৪০ বছর এই ব্যাপারে সৎ থাকার কারণে তার কাছে মনে হল এখন নিশ্চয় সেটা খোলার অধিকার তার হয়ে আছে। ধীরে ধীরে ছোট বাক্সটি বের করে সে সেটা খুলে দেখল তার ভেতরে স্বামীর জমানো খুচরা টাকায় মোট তিন শ ডলার আর চারটা খালি বিয়ারের বোতল।
রাতে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ডিনার শেষ করার পর সে তাকে জানাল বাক্স খোলার ব্যাপারটা।
‘সর্বনাশ! তুমি এটা কী করেছ?’ স্বামী কিছুটা উত্তেজিত।
‘আহা এটাতে রেগে যাবার কী আছে?’ কিন্তু চারটা খালি বোতলের অর্থ কী? স্ত্রী কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করল। ‘ইয়ে.. মানে… আসলে বিয়ের পর আমি যতবার তোমার সাথে প্রতারণ করেছি…. মানে অন্য কোনো মেয়ের সাথে শুয়েছি ততবার আমি বাড়িতে এসে ওই বাক্সে একটা করে বোতল রাখতাম’। স্বামী-ভয়ে ভয়ে জানাল। চল্লিশ বছরে মাত্র চারবার এমনটি ঘটেছে ভেবে স্ত্রী তার স্বামীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল- ‘থাক এ নিয়ে আর মন খারাপ কোরোনা…’।
রাতের চমৎকার ডিনার শেষে দুজনই ঘুমাতে গেল। হঠাৎ মধ্যরাতের দিকে একটা কথা ভেবে স্ত্রীর ঘুম ছুটে গেল। সে তখনই তার স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে জিজ্ঞেসা করল- আচ্ছা, ওই বাক্সের টাকাগুলো কিসের?
ঘুম ঘুম চোখে স্বামী কোনোমতে পাশ ফিরে জানাল- ও কিছু না যখন বাক্সের ভেতর আর বোতল জায়গা হত না তখন সব বোতল ফেলে এক ডলার করে রাখতাম।


৮২-অন্ধ না হলে
ঘরে ঢুকতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর গায়ে ধাক্কা লাগল-
স্ত্রী : উফ অন্ধ নাকি তুমি, দেখতে পাও না ?
স্বামী : অন্ধ না হলে কি আর তোমাকে বিয়ে করি।


৮৩-গাড়ির ভেতর স্ত্রী
এক ব্যক্তি হাঁপাতে হাঁপাতে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে বলল-“অফিসার জলদি আসুন, আমি ভুল করে চাবি ভেতরে রেখে গাড়ির দরজা লক করে ফেলেছি।’
অফিসার আশ্চর্য হয়ে বলল-‘আরে এতে এত উত্তেজিত হবার কী আছে?
‘কথা পরে বলুন আগে জলদি চলুন … এক ঘন্টা ধরে ওই গাড়ির ভেতর আমার স্ত্রী ও দুই বাচ্চা আটকে আছে …।


৮৪-

গাড়ির কী অবস্থা

: বাড়ি ফিরেই এক লোক দেখতে পেল তার স্ত্রীর হাতে, মাথায় ব্যান্ডেজ। সে ছুটে তার কাছে গিয়ে কী হয়েছে জানতে চাইল। ‘গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছি …সকালে ঘরের কিছু কেনাকাটা করতে বেরুচ্ছিলাম …’
স্ত্রীকে থামিয়ে দিয়ে স্বামী উত্তেজিত হয়ে বলল- ‘এত বিস্তারিত বলার প্রয়েজন নেই, এখন কী অবস্থা বল।’
স্বামীকে তার ব্যাপারে এত চিন্তিত হতে দেখে খুশি হয়ে স্ত্রী বলল- ‘আরে এত দুশ্চিন্তার কিছু নেই, মাথায় দুটো সেলাই পড়েছে আর কবজি সামান্য একটু মচকে গেছে। অবশ্য ডাক্তার বলেছে …’।
এবার স্বামী আগের চেয়েও জোরে চিৎকার করে উঠল, ‘আরে তোমার কথা কে জিজ্ঞেস করল? গাড়ির কী অবস্থা সেটা বল ।’

৮৫-পরিচয় হয়েছে বিয়ের পর
স্ত্রী : বিয়ের আগে কি তোমার কোনো বান্ধবী ছিল?
স্বামী : না, তুমিই প্রথম।
স্ত্রী : কাল যে মেয়েটির সঙ্গে খুব হেসে কথা বলছিলে ওই মেয়েটি তা হলে কে ?
স্বামী : ওর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে বিয়ের পর।


৮৬-

সাবধান

পার্কে বসে আছেন স্বামী-স্ত্রী। গাছের আড়াল থেকে ভেসে এল প্রেমিক-প্রেমিকার কন্ঠস্বর। প্রথমে মৃদু, তারপর জোরে-গাঢ়, আবেগময় আলাপ। স্বামীকে স্ত্রী বললেন, দ্যাখ, ওরা যেভাবে আলাপ করছে, মনে হয় কিছুক্ষণের মধ্যে ছেলেটা বিয়ের প্রস্তাব করে বসবে। তুমি একটু কেশে সাবধান করে দাও ।
: আমার বয়ে গেছে । খিঁচিয়ে উঠলেন স্বামী, তোমার কাছে যখন প্রস্তাব করেছিলাম, তখন আমাকে কেশে কি কেউ সাবধান করেছিল ?

৮৭-কাকতালীয় ব্যাপার
এক সন্তানসম্ভবা স্ত্রী তার স্বামীকে বলল, “শুনছ, আজকেই হবে ?’
স্বামী : কী হবে?
স্ত্রী : আমি মা আর তুমি বাবা হবে।
স্বামী : দুজন একসাথেই। কী কাকতালীয় ব্যাপার।


৮৮-টিকিট দুটো ফেলে এসেছি
স্বামী : তুমি এই বড় সুটকেস ভর্তি করে কাপড় না এনে বড় আলমারিটাই তো সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারতে।
স্ত্রী : ঠাট্রা করছ? ভারি তো কটা কাপড় সঙ্গে নিয়েছি তাতেই।
স্বামী : না, আসলে ট্রেনের টিকিট দুটো আলমারিতে ফেলে এসেছি।


৮৯-বাথরুম থেকে দাঁতটা নিয়ে আসি
পঁচাত্তর বছর বিবাহবার্ষিকী পালনের সময়।
স্ত্রী : তোমার মনে আছে বিয়ের প্রথম দিনে তুমি কী করেছিলে ?
স্বামী : গাল কামড়ে দিয়েছেলাম তোমার।
স্ত্রী : সেদিন কী আর ফিরে পাব ?
স্বামী : দাঁড়াও বাথরুম থেকে দাঁতটা নিয়ে আসি ।



৯০-মহিলাটি কে
তোমাকে সেদিন থ্যাবড়ামুখী, হাতির মতো মোটা একজন মুহিলার সঙ্গে যেতে দেখলাম, মহিলাটি কে ?
: যদি তুমি আমার স্ত্রীকে ব্যাপারটা না বল তাহলে বলতে পারি।
: বেশ বলব না।
: গত বছর ঐ মহিরাকেই আমি বিয়ে করেছি।




৯১-জানবার কথা
বইমেলায় বই বিক্রেতা একজন ক্রেতাকে একসেট ‘জানবার কথা’ বিক্রি করার খুব চেষ্টা করে যাচ্ছে-
বিক্রেতা : দেখুন, বই একটা সম্পদ হয়ে থাকবে আপনার ঘরে। এতে ধর্ম, রাজনীতি, সাহিত্য, জিরাফ, কোলাব্যাঙ, অর্থনীতি-সব আছে, এভরিথিং। দাম মাত্র হাজার টাকা।
ক্রেতা : ধন্যবাদ ! কিন্তু এটা আমার কোনো প্রয়োজন নেই, ঘরে আমার স্ত্রী আছেন।



৯২-হতভাগা
স্ত্রীকে তুষ্ট করার জন্য রাস্তায় বেরিয়ে স্বামী বললেন, দ্যাখো দ্যাখো গিন্নি, রাস্তায় লোকজন তোমার দিকে কী রকম ঘুরে ঘুরে দেখছে ?
: আমার দিকে নয়, ওরা তোমার দিকেই তাকাচ্ছে।
: কেন কেন?
: যে তার বউকে গাড়ি চড়াতে পারে না, সে হতভাগাকে না দেখে কেউ থাকতে পারে!


৯৩-বাবা-মাই থাকে তাদের বাবা-মার বাসায়
নিমাকে কোর্ট ম্যারেজ করায় রাজুকে তার বাবা ত্যাজ্যপুত্র করেছেন। দম্পতি এখন রাস্তায়। কোথায় ওঠা যায় তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে দুজন। তাদের বন্ধু বলল ‘নিমার বাপের বাড়িতে উঠে যা আপাতত্’।
“সেটা সম্ভব না।”
“কেন্?”
“কারণ নিমার বাবা-মাই থাকে তাদের বাবা-মার বাসায়।”


৯৪-

ভুলটা আমার

জন্মদিনের এক পার্টিতে এক ভদ্রলোক বিস্মিত হয়ে পাশের লোকটিকে বললেন, আশ্চর্য ব্যাপার ঐ যে লাল শাড়ি পরা সুন্দরী মহিলা, তিনি এতক্ষণ আমার সঙ্গে কী আন্তরিকভাবে আলাপে-ঠাট্টায় মশগুল ছিলেন। হঠাৎ করে গম্ভীর হয়ে চলে গেলেন। বুঝতে পারছি না, মুহুর্তের মধ্যে কী ভুল আমি করলাম।
: ভুল আপনি করেন নি, ভুলটা আমার। মানে আমি ওর স্বামী। এইমাত্র এসেছি।


৯৫-

অন্য পুরুষের সঙ্গে

এক ভদ্রলোক সিনেমা হলের ম্যানেজারকে বলল ‘দেখুন আমার স্ত্রী ভিতরে অন্য পুরুষের সঙ্গে ছবি দেখছে। দয়া করে ওকে হল থেকে বের করে দিন ।’
ম্যানেজার হলে গিয়ে চিৎকার করে বলল, “কোনো একজন মহিলা অন্য পুরুষের সঙ্গে ছবি দেখছেন, তার স্বামী বাইরে অপেক্ষা করছেন, দয়া করে বাইরে আসুন।’’ মুহুর্তে সমস্ত হল খালি হয়ে গেল।


৯৬-হেঁটে স্বর্গে ঢোকা নিষেধ
স্ত্রী : কাল রাতে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলাম- দেখি আমি স্বর্গে গেছি, স্বর্গের দারোয়ান আমাকে থামাল। বলল হেঁটে ঢোকা নিষেধ, একটা কিছুতে চড়ে আসতে হবে। স্বর্গের দারোয়ান বলে গাধায় চড়ে স্বর্গে ঢোকা নিষেধ, কমপক্ষে ঘোড়া …।



৯৭-জীবনবীমা
স্ত্রী : আমি যে প্রতিদিন তোমাকে এত মজার মজার জিনিস রান্না করে খাওয়াই তুমি তো বিনিময়ে কিছুই দাও না …
স্বামী : দিতে হবে না এমনিই পেয়ে যাবে।
স্ত্রী : কী পাব ?
স্বামী : আমার জীবনবীমার পাঁচ লাখ টাকা।




৯৮-

হিক্কা ওঠা বন্ধ

এক লোক অনেক রাতে ফার্মিসিতে গিয়ে দোকানির কাছে জানতে চাইল প্রচন্ড হিক্কার জন্য কিছু আছে কি না। দোকানি ভাবল হঠাৎ চমকে দিতে পারলে তার হিক্কা ওঠা বন্ধ হবে। সে এগিয়ে গিয়ে ঠাস করে একটা চড় কষিয়ে দিল লোকটির গালে। লোকটি অবাক হয়ে জানতে চাইল এটা কেন করলে ?
দেখ, তোমার আর হিক্কা উঠছে না!- দোকানি হেসে জানাল।
‘তা উঠছে না, কিন্তু গাড়িতে বসা আমার স্ত্রীর তো এখনো উঠছে।



৯৯-

আমারও ভালো লাগে না

প্রচন্ড অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে স্বামী। মহিলাকে কিছুক্ষণ পরীক্ষা করে ডাক্তার স্বামীকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বলল- দুঃখিত, তোমার স্ত্রীকে দেখে আমার কিন্তু মোটেই ভালো বোধ হচ্ছে না।
স্বামী সাথে সাথে জবাব দিল- ‘আমারও ভালো লাগে না, কিন্তু কী করব বলুন?
সে রাঁধে ভালো, ঘরদোরের কাজও ভালো জানে, তাছাড়া বাচ্চারাও তাকে খুব ভালবাসে … ।


১০০-পরীক্ষা হয়ে যাক
স্ত্রী : ওগো আমি মারা গেলে তুমি কাঁদবে না ?
স্বামী : অবশ্যই।
স্ত্রী : আমার বিশ্বাস হয় না।
স্বামী : বেশ পরীক্ষা হয়ে যাক।

বাংলা কৌতুক 'প্রেমিক-প্রেমিকা'

প্রেমিক-প্রেমিকার কথোপকথন—
প্রেমিক: আমি মনে হয় তোমাকে বিয়েটা করতে পারব না।
প্রেমিকা: এত দিন পর এ কথা বলছ কেন? কেন, কী হয়েছে বলো তো শুনি?
প্রেমিক: না, তেমন কিছু না। আমার বাসা থেকে নিষেধ আছে।
প্রেমিকা: তা তোমার বাসায় কে কে আছেন?
প্রেমিক: বেশি না। আমার এক স্ত্রী আর তিন সন্তান।



২-গবেটের সঙ্গে জীবন কাটাবে
মেয়ের প্রেমিকের উদ্দেশ্যে বাবা বললেন, আমার মেয়ে একটা গবেটের সঙ্গে তার জীবনটা কাটাবে এ আমি কিছুতেই হতে দিতে পারি না।
প্রেমিক বলল, সে জন্যই তো ওকে আপনার বাড়ি থেকে তাড়াতাড়ি আমার বাড়ি নিয়ে যেতে চাই।


৩-কাফনের খরচ
: বাবাকে বল নি, আমাকে না পেলে তুমি বাঁচবে না।
: বলেছিলাম।
: কী বলেছেন বাবা?
: বলেছেন- ‘চিন্তা করো না, কাফনের খরচ দিয়ে দেব’।


৪-আলাদা বিল
প্রেমিক – প্রেমিকা হোটেলে বসে খাচ্ছে। প্রচুর খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
প্রেমিক : তা হলে তুমি আমাকে বিয়ে করবে না বলে ঠিক করেছ?
প্রেমিকা : হ্যাঁ, আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না।
প্রেমিক : এই বেয়ারা, আমাদের দু’জনের দুটো আলাদা বিল নিয়ে এস।


৫-

নারী বনাম পুরুষ

হাতের লেখা
পুরুষ : লেখা কোনো রকমে পড়া গেলেই হলো। কাকের ঠ্যাং-বকের ঠ্যাং কী হচ্ছে তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায় না।
নারী : লেখা হতে হবে মুক্তোর মতো ঝরঝরে।
কেনাকাটা
নারী : প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লিস্ট বানিয়ে বাজারে গিয়ে সেগুলো কিনে আনে।
পুরুষ : যতক্ষণ না বাড়ির চাল-ডাল সব শেষ বলে বউ চেঁচাতে শুরু করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যেতে চায় না। বাজারে গিয়ে যা পছন্দ হয় তা-ই কিনতে চায়। কখনো কখনো দাম দিতে গিয়ে দেখে, সে মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছে।
মিতব্যয়িতা
নারী : এক টাকা দামের জিনিসের জন্য কখনোই দুই টাকা খরচ করবে না। তা সে যত পছন্দসই হোক না কেন।
পুরুষ : যা পছন্দ হবে তা কিনতেই হবে। জিতে কিংবা ঠকে যেভাবেই হোক।
তর্ক
নারী : তর্কাতর্কির শেষ কথাটি হবে নারীর।
পুরুষ : নারীর পর পুরুষের কথা বলা মানে নতুন তর্কের শুরু।
প্রেম
পুরুষ: প্রতিটি পুরুষই চায় কোনো নারীর প্রথম প্রেম হতে।
নারী: নারীরা চায় তারা তাদের ভালোবাসার পুরুষটির শেষ প্রেম হোক।
ব্রেকআপ
নারী : সম্পর্ক ভেঙে গেলে কাছের কোনো বান্ধবীকে জড়িয়ে হাপুস নয়নে কাঁদতে থাকে। কিংবা ‘পুরুষ বড় নির্বোধ’ জাতীয় কবিতা লেখা শুরু করে এবং নতুনভাবে জীবনটা শুরু করার চেষ্টা করে।
পুরুষ : ব্রেকআপ হওয়ার ছয় মাস পরও সাবেক প্রেমিকাকে রাতবিরেতে ফোন করে ‘ডাইনি, তুই আমার জীবনটা শেষ করে দিলি’—এ জাতীয় ডায়ালগ ঝাড়তে থাকে।
বিয়ে
নারী : মনে করে বিয়ের পর হাজব্যান্ড বদলে যাবে, কিন্তু তা হয় না।
পুরুষ : মনে করে প্রেমিকা স্ত্রী হওয়ার পরও একই রকম থাকবে। কিন্তু স্ত্রী বদলে যায়।
স্মৃতি
নারী : যে পুরুষটি তাকে বিয়ে করতে চায় তাকে সারা জীবন মনে রাখে।
পুরুষ : সেসব নারীকে মনে রাখে যাদের সে বিয়ে করেনি।
বাথরুম
পুুরুষ : সাধারণত ছয়টি জিনিস থাকে। সাবান, সেভিং ক্রিম, রেজর, টুথব্রাশ, আর তোয়ালে (ক্ষেত্রবিশেষে কোনো হোটেল থেকে চুরি করা)।
নারী : সাবান, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট তো আছেই সেই সঙ্গে শ্যাম্পু, চিরুনি, লিপস্টিক….আরও কত কী! বেশির ভাগ জিনিস পুরুষেরা চিনবেই না।
জুতো
নারী : গরমের দিনে অফিস ডেস্কের নিচে পা ঢুকিয়ে জুতো খুলে রাখে।
পুরুষ : সারা দিন এক জুতা-মোজাই পায়ে দিয়ে রাখে।
পশু-পাখি
নারী : পশু-পাখি ভালোবাসে।
পুরুষ : পশু-পাখিকে কষ্ট দিতে ভালোবাসে।
সন্তান
নারী : নারীরা তাদের সন্তানদের পুরোপুরি চেনে। তাদের সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন, বন্ধু, গোপন ভয় এমনকি গোপন প্রেম সম্পর্কেও তারা জানে।
পুরুষ : নিজের বাড়িতে মোট কয়জন মানুষ আছে তা-ও সব সময় মনে রাখতে পারে না।
অলংকার
নারী : যেকোনো ধরনের অলংকার পরলেই নারীদের সুন্দর দেখায়।
পুরুষ : বড়জোর একটা আংটি কিংবা ব্রেসলেট। এর চেয়ে বেশি কিছু পরলেই লোকে মন্দ বলতে শুরু করে।
বন্ধু
নারী : বান্ধবীরা মিলে আড্ডা দিতে গেলে নিজেদের সুখ-দুঃখের আলাপেই ব্যস্ত থাকে।
পুরুষ : পুরুষদের আড্ডায় ‘দোস্ত তোর লাইটারটা দে তো’ জাতীয় কথাবার্তাই বেশি শোনা যায়।
বাইরে খাওয়া
নারী : ভাগাভাগি করে বিল দেয়।
পুরুষ : সবাই চায় অন্যের ওপর বিল চাপিয়ে দিতে। কারও কাছেই ভাংতি থাকে না।
কাপড় ধোয়া
নারী : প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত কাপড় কাচে।
পুরুষ : চিমটি কাটলে ময়লা বের না হওয়া পর্যন্ত কাপড়ে সাবান ছোঁয়ায় না।



৬-জুতা নিয়েই এসো
ছেলে ও মেয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে—
ছেলে: ওগো, তুমি আমার হূদয়ের মাঝে চলে এসো।
মেয়ে: জুতা খুলে আসব?
ছেলে: আরে বুদ্ধু, এটা তোমার মায়ের পরিষ্কার করা ঘর নয়। জুতা নিয়েই এসো।

৭-ডিম পেড়ে দেখাও
মোরগ: এই শোনো!
মুরগি: আমাকে বলছেন?
মোরগ: হ্যাঁ, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তোমার জন্য আমি সবকিছু করতে পারি।
মুরগি: সত্যি! তুমি আমার জন্য সবকিছু করতে পার? তাহলে কষ্ট করে একটা ডিম পেড়ে দেখাও না!


৮-খরচটা সার্থক
প্রেমিক : জান, এই যে অন্ধকার ট্যানেলটা আমরা এইমাত্র পার হয়ে এলাম, এটা দুই মাইল লম্বা আর এটা তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় দশ কোটি টাকা।
প্রেমিকা ( অবিন্যস্ত পোশাক ঠিক করেত করতে)


৯-

তোমার জন্য এ্যাম্বুলেন্স

রেস্টুরেন্টে প্রেমিক-প্রেমিকা
প্রেমিক : কী খাবে?
প্রেমিকা : আমার জন্য এক কাপ চা হলেই চলবে তোমার জন্য এ্যাম্বুলেন্স।
প্রেমিক : মানে?
প্রেমিকা : মানে ঐ দেখ আমার স্বামী ঢুকছেন-
কিন্তু দেখা গেল স্বামীর পিছন পিছন ঢুকছে আরেক তরুনী। এবার প্রেমিকা (মানে ঐ স্বামীর প্রকৃত স্ত্রী) মূর্ছা গেলেন। প্রেমিকের জন্য আনা এ্যাম্বুলেন্সে করে প্রেমিকাকে নিয়ে ছুটতে হল হসপিটালে।


১০-

খুব খুশি হলাম তোমায় দেখে

ভিজিটিং আওয়ার শেষ হয়েছে অনেক আগেই। তখন হন্তদন্ত হয়ে এক তুখোড় তরুণী তার অল্প পরিচিত প্রেমিক ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে এল। ঢুকেই সে সুপারিনটেনডেন্টকে বলল, ‘ম্যাডাম, আমি কি ডাক্তার উইলিয়ামসের সঙ্গে দেখা করতে পারি?’
সুপারিনটেনডেন্ট বললেন, ‘আপনি কে সেটা কি জানতে পারি?’
মৃদু হেসে তরুণী বলল, ‘নিশ্চয়ই, আমি তার বোন।’
সুপারিনটেনডেন্ট একটু তাকিয়ে থেকে বলল, ‘আচ্ছা আচ্ছা, খুব খুশি হলাম তোমায় দেখে। আমি ডা. উইলিয়ামসের মা।’


১১-ইনস্টলমেন্ট
ছ্যাঁকা খাওয়া এক প্রেমিককে সান্ত্বনা দিয়ে বন্ধু বলল, ‘আরে দূর, মলি কোনো মেয়ে হলো? ওর মতো মেয়েকে ভুলতে কয় দিন লাগে? তুই আবার মনের মতো কাউকে পেয়ে যাবি।’
হতাশ প্রেমিক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, ‘ভোলার উপায় নাই রে, গত মাসে আমি ওকে ইনস্টলমেন্টে অনেক কিছু কিনে দিয়েছি।’


১২-সে এখন আমার চাচি
: জেলীর সঙ্গে তোমার বাগদান কি ভেঙে গেছে ?
: হ্যাঁ
: কেন ?
: ও আর আমাকে বিয়ে করতে চায় নি। আমার টাকাপয়সা তো তেমন নেই।
: কেন তুমি তোমার ধনী চাচার কথা তাকে বল নি ?
: বলেছি । তাই সে এখন আমার চাচি হয়েছে।


১৩-

পুরোনো প্রেমিকার চিঠি

বহুদিন পর আমার পুরোনো প্রেমিকার চিঠি পেলাম। চিঠির ভাষা ছিল এ রকম-
প্রিয় মজনু, তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙাটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আজ আমি বুঝতে পেরেছি, পৃথিবীতে তুমিই আমায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে। আমরা কি পারি না পুরোনো সম্পর্কটা নতুন করে তৈরি করতে? তোমার উত্তরের প্রতীক্ষায় রইলাম।
ইতি-তোমার জুলি
পুনশ্চঃ লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার জন্য অভিনন্দন।


১৪-

যোগব্যায়ামের ফল

বাবুর বান্ধবীর হাতের নখ কামড়ানোর নোংরা একটা অভ্যেস ছিল। ওই বদ অভ্যেসটা কাটানোর জন্য বাবু বান্ধবীকে যোগব্যায়ামের ক্লাসে ভর্তি করে দেয়। কয়েক দিন পর বাবু প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেল। দেখল, ওর হাতের নখগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। তখন বাবু বেশ হাসিমুখে বলল, ‘দেখলে তো, যোগব্যায়ামে ভর্তি করে তোমার নখ খাওয়া কেমন বন্ধ করলাম।’ বাবুর প্রেমিকা বলল, ‘না, সোনা, আমি নখ খাওয়া ছাড়িনি। যোগব্যায়াম করে আমি এখন পায়ের নখও মুখে আনতে পারি।’



১৫-বিয়ে করতে রাজি
ছেলেঃ দেখ, আমার মনে হয় এবার আমাদের বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
মেয়েঃ সেটা মানছি, কিন্তু কারা এমন মানুষ আছে যে আমাদের বিয়ে করতে রাজি হবে?



১৬-ইংরেজি জানি না
এক ছেলে তার বান্ধবীকে বলল, যখন ওই ইংরেজ ছেলেটা তোমার হাত ধরল, তুমি তাকে ধমক দিলে না কেন?
বান্ধবী বলল, কীভাবে দেব। আমি তো ইংরেজি জানি না।


১৭-পৃথিবীতে কত সুন্দরী
হাবলুঃ তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো, তাহলে আমি নির্ঘাত আত্মহত্যা করব।
বান্ধবীঃ ছি, আত্মহত্যা করবে কেন? পৃথিবীতে কত সুন্দরী মেয়ে আছে।
হাবলুঃ বাপ রে, তুমিই বিয়ে করতে চাইছ না, আবার সুন্দরী মেয়ে!



১৮-অষ্টম আশ্চর্য
প্রেমিক তার প্রেমিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে, তুমি পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। শুনে প্রেমিকা বলল, তাই নাকি! তাহলে আগের সাতজন কে কে শুনি।


১৯-

সে তো আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি

প্রেমিকঃ তুমি আমার জীবনে বাঁচার রসদ, আমার প্রেরণা, আমার সবকিছু।
প্রেমিকাঃ তুমিও আমার প্রাণ গো।
প্রেমিকঃ আমি খুব একটা বড়লোক নই। রোহিতের মতো আমার বড় বাড়ি, বড় গাড়ি কিছুই নেই। কিন্তু একটা কথা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আমার মতো তোমায় কেউ ভালোবাসবে না। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
প্রেমিকাঃ সে তো আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি, কিন্তু রোহিত সম্বন্ধে আরও কিছু কথা বলো তো শুনি।


২০-প্রকৃত ভালোবাসা
দুই প্রেমিক-প্রেমিকা ঠিক করেছে আত্মহত্যা করবে। উঁচু পাহাড় থেকে প্রথমে ছেলেটি ঝাঁপ দিল, কিন্তু মেয়েটি দিল না। সে চোখ বন্ধ করে বলল, ভালোবাসা অন্ধ।
এদিকে ঝাঁপ দেওয়ার পর ছেলেটি প্যারাসুট খুলে বলল, প্রকৃত ভালোবাসা কখনো মরে না!


২১-

আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি

গুল্লু আর গাবলু একদিন একটা রেস্তোরাঁয় গেছে। সুস্বাদু খাবার খাওয়ার পর গাবলু বলল, আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি, গুল্লু!
গুল্লু উত্তর দিল, কিন্তু আমি তো তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, ভালো করে ভেবে দেখেছ তো?
গুল্লু বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, বললাম তো আমি তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, আচ্ছা, ঠিক আছে। ওয়েটার, দুটো আলাদা বিল নিয়ে এসো তো।
গুল্লু সঙ্গে সঙ্গে বলল, ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি।


২২-

নৌকাডুবি

-সত্যিই তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও না?-ছেলেটি বলল মেয়েটিকে।
-না, চাই না। আমি এমন কোনো পুরুষকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করব, যে সত্যিই কর্মঠ ও বুদ্ধিমান।
-তোমার কি মনে নেই, নৌকাডুবির পর কীভাবে তোমাকে আমি উদ্ধার করেছিলাম!
-হ্যাঁ, এতে প্রমাণিত হয়, তুমি কর্মঠ। কিন্তু বুদ্ধিমান নও।
-তুমি কি জানো, নৌকাটা কে ডুবিয়েছিল?-রহস্যভরা চোখ নিয়ে বলল ছেলেটি।



২৩-এমন কোন ইডিয়ট নেই যে আমাকে বিয়ে করবে
বিয়ের দিনক্ষণ পাকা। এমন পর্যায়ে প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে কথা হচ্ছে —
প্রেমিকঃ এখন কাউকে কিছু বলব না, একেবারে বিয়ে করে সবাইকে চমকে দেব।
প্রেমিকাঃ আমি শুধু রহমানকে একবার বলব।
প্রেমিকঃ এত লোক থাকতে রহমান কেন?
প্রেমিকাঃ ও-ই আমাকে বলেছিল, পৃথিবীতে এমন কোন ইডিয়ট নেই যে আমাকে বিয়ে করবে।



২৪-আমি কোথায় ইনজেকশন নিয়েছিলাম
এক যুবক আর এক সুন্দরী তরুণী ট্যাক্সি করে বেড়াতে বেড়িয়েছে। মেয়েটি যুবকটিকে নিয়ে তামাশা করে মজা পায়।
হঠাত্‌ মেয়েটি বলল, দেখবে কাল আমি কোথায় ইনজেকশন নিয়েছিলাম?
ছেলেটি উৎসাহিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, হ্যাঁ হ্যাঁ দেখব। দেখাও।
মেয়েটি আঙুল তুলে বলল, ওই হাসপাতালটায়।


২৫-মোবাইল নম্বরটা বলো
মেয়েঃ আমি যদি তোমার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হই তাহলে তুমি কি আমাকে একটা রিং দেবে?
ছেলেঃ অবশ্যই, কেন নয়, তোমার মোবাইল নম্বরটা বলো।


২৬-আমি আবার চাঁদের দিকেই তাকাই
–আমি চাঁদের দিকে তাকাই, কী সুন্দর চাঁদ! আমি তোমার দিকে তাকাই···। তুমি··· তুমি··· নাহ্‌, থাক, আমি আবার চাঁদের দিকেই তাকাই।


২৭-বিয়ের পরে যেগুলো হবে
-যখন আমরা বিয়ে করব, তখন তোমার যত দুঃখ-কষ্ট, সব আমি তোমার সঙ্গে ভাগ করে নেব।
-আমার কোনো দুঃখ-কষ্ট নেই।
-আমি তো বিয়ের আগের কথা বলছি না। বলছি বিয়ের পরে যেগুলো হবে···


২৮-এত কিছুর পর আমাদের কে আর বিয়ে করবে
বহুদিন ধরে ছেলে আর মেয়েটি দেখা করছে। সম্পর্ক বেশ অন্তরঙ্গ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু ছেলেটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেই না। শেষ পর্যন্ত মেয়েটি বলল, ‘তোমার কি মনে হয় না, আমাদের বিয়ে করার সময় হয়েছে?’
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ছেলেটি বলল, ‘এত কিছুর পর আমাদের কে আর বিয়ে করবে, বলো?’


২৯-তিনটা টিকিট কেন
প্রেমিকঃ প্রিয়া, দারুন একটা মুভি এসেছে। হাউসফুল যাচ্ছে। তিনটা এডভান্স টিকিট কেটে এনেছি।
প্রেমিকাঃ তিনটা টিকিট কেন? আমরা তো মাত্র দুজন!
প্রেমিকাঃ টিকিট তো আমাদের জন্য আনিনি। এনেছি তোমার মা, বাবা আর ভাইয়ের জন্য। তারা সিনেমা দেখতে গেলেই আমি চলে আসব।


৩০-

কিছু না ঘটে তবে

লন্ডনের হাউজ পার্কে বসে এক তরুন-তরুনী ভবিষৎতের সুখ স্বপ্ন রচনার বিভোর প্রেয়সীর হাতে জোরে চাপ দিয়ে পরে বললো – আমি সব কিছু ভেবে রেখেছি । এমনকি তোমার জন্য একটা জীবন বীমা করে রেখেছি যাতে আমার কিছু ঘটলে তোমার কিছু অসুবিধা না হয়।
–সত্যিই করেছে? সুন্দর… কিন্তু যদি কিছু না ঘটে তবে আমার উপায় কি হবে ?